ঢাকা, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার
মেনু |||

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত

ডেস্কঃ ধানমন্ডির ওমেন ভলান্টিয়ারি এসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে ৭ জানুয়ারি শনিবার বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না, ১০০ রেসিপি চতুর্থ খণ্ড বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, এমপি, বিশেষ অতিথি জাকিয়া পারভীন খানম মনি, এমপি, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান মারুফ, বাংলাদেশ কুকিং এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ও রন্ধনশিল্পী মেহেরুন্নেসা। নাহার কুকিং ওয়ার্ল্ড ও আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেছে- টপার কিচেনওয়্যার এবং সেভরি ফুড লিমিটেড।

 

রন্ধনশিল্পীরা বইটির সম্পাদক, অনুষ্ঠানের আয়োজক ও অতিথিবৃন্দের জন্য পিঠা, কেক, মিষ্টিসহ বিভিন্ন পদের খাবারের ডালা নিয়ে এসেছিলেন। প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজক নাহার কুকিং ওয়ার্ল্ড ও আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। প্রকাশনা অনুষ্ঠান পরিণত হয়েছিল রন্ধনশিল্পীদের শিল্পীদের মিলনমেলায়।  সারাদেশের ৪০ জন রন্ধনশিল্পীকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ সম্মাননা।

 

সোনিয়া সিমরানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শারমিন সেলিম তুলি বক্তব্যে বলেন- ‘বাংলাদেশের তৃণমূলে যে নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে তার প্রমাণ আজকের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া নারীরা। তারা শুধু নিজেরা পরিশ্রম করে রেসিপি সংগ্রহ করে বসে থাকেনি, তা প্রকাশ করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আয়োজন করেছেন। রন্ধনশিল্পীদের তৈরি করা এসব খাবার সারাদেশে বেচা হচ্ছে অনলাইনে। ঘরে বসে কাজ করে আজকের দিনের নারীরা অর্থ উপার্জন করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছেন।’ তিনি বলেন- নারীদের উদ্যোগ আরও সফল করার জন্য একজন নারীর পাশে আরেকজন নারীকে থাকতে হতে। তাহলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আরও সফলতা আসবে।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাকিয়া পারভীন খানম মনি, এমপি বলেন- ‘বাংলাদেশের নারীরা রান্নাকে শিল্পের মর্যাদা দিয়েছেন আগেই। একালের নারীরা রান্নাকে লাভজনক ব্যবসায় রূপান্তর করেছেন।’ ব্যবসায়ী হাসান মারুফ তার বক্তব্যে বলেন- ‘রন্ধনশিল্পী হিসেবে নারীরা এখন শুধু বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রতিযোগিতা করে সেরা নির্বাচিত হচ্ছেন। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য গর্বের বিষয়।’ তিনি বলেন- ‘আমরা এখন যে অফিসে বসে ঘরের খাবার খাই, তা সম্ভব হয়েছে নারী উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পীদের জন্য। তারা ঘরে তৈরি করা খাবার অফিসে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন নিজ নিজ উদ্যোগে।’

 

প্রধান অতিথির বক্তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন- নারীর স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে বর্তমান সরকার। সে জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীদের অগ্রগতির জন্য ও কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এসব উদ্যোগের সুফল পাচ্ছেন বর্তমানের নারীরা।’ শুধু লাভের চিন্তা না করে খাবারের যথাাযথ মান বজায় রেখে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে খাবাবের ব্যবসার সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য নারী উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পীদের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি।

 

অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও দর্শকবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বইটির সম্পাদক হাসিনা আনছার বলেন-  ‘বইটি সম্পাদনা করার কাজটি সত্যি কঠিন ছিল। কারণ সারাদেশ থেযে যেসব রেসিপি এসেছে, প্রতিটি রেসিপি ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্বাদের। তারপরেও অনেক রেসিপি বাদ দিতে হয়েছে সীমাবদ্ধতার কারণে। সারাদেশের রন্ধনশিল্পীদের আগ্রহের কথা ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রতি মানুষের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে এ উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি

 

প্রকাশনা উৎসবে নারীদের উদ্যোগ ও অর্জনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন- রন্ধনশিল্পী নিপা রাজ্জাক, কানিজ ফেরদৌসি, জান্নাতুল ফেরদৌস, মুসারাত জাহান রিমা, মুম্মুন আক্তার, রোজী মজুমদার, শাহেরা আনসার, শম্পা সরকার, রোজী সিদ্দিক, সোনিয়া সিমরান, অগনিস গোমেজ, শর্মিলা জেসমিন তুলি, ফারজানা রহমান তানিয়া, আয়েশা ইরা, ইভা মোরশিদা, হাফিজা সুলতানা মনি, হামিদা বেগম, হেলেন বওয়ার, হুমায়রা কবির সোমা, হুরে জান্নাত, সোমা কঙ্কাবতী, সুরাইয়া আব্দুল, তাহমিনা আমিন রোজী, তাহসিনা সালেহ, জিনিয়া ইসলাম, ইফাত আরা, জাহানারা আক্তার নিলা, কানিজ রুনা, কোহিনুর বেগম, মাহিনুর করিম, মুনা লিজা, নামিরা খানম, নাসরিন নওরোজ স্বপ্না, রায়হানা ইয়াসমিন, রাজিয়া সুলতানা, সাজেদা রুমা, সামিরা শাম্মি, সানজিদা পারভীন, ডলি ইসলাম, কানিজ ফাতেমা রুমা।

 

নারী উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পীদের বিশেষ সহযোগিতা ও নারী উদ্যোক্তাদেও অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন এনটিভির অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা,  মিরপুর কার হাট এর ম্যানেজিং পার্টনার মোহাম্মদ হাসান মারুফ, রন্ধনশিল্পী কানিজ ফেরদৌসী, নিপা রাজ্জাক, ইউটিউবার রোজী সিদ্দিক, বাংলা কুইজিন এর মুশাররাত জাহান রিমা, পিঠা শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস, আরেবিয়ায়ন ফুড  আব্দুল্লাহ ফিউশন ফারজানা রহমান তানিয়া, শেফ ইউনিটি এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর শেফ আহসান হাবীব, পারভীন আক্তার পান্না, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তানিয়া পারভীন, বাংলাদেশ বডি বিল্ডিং ফেডারেশন এর বিচারক আসিফ বাবু, মুখরোচক এর স্বত্ত্বাধিকারী আয়শা ইরা, উডান ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান সোনিয়া সিমরান, কো চেয়ারম্যান শারমিন কাদের নামিরা, এটিএন বাংলার অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক লানা খান, পুষ্টিবিদ মোঃ এরশাদ খান সালমা, একুশে টেলিভিশন এর সিনিয়র প্রযোজক রুশো রাকিব, অনুষ্ঠান প্রযোজক সোহেল রানা সবুজ, উই ক্যান এর এডমিন ফাহদ হোসেন, তানিয়াস ডায়েট ফুড এর জাহিন আক্তার, এটিএন বাংলার অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক শম্পা মাহমুদ, গাজী টেলিভিশনের ক্রিয়েটিভ এন্ড কনটেন্ট ডেভেলপার জাহিদ মাহমুদ, আফরোজা আহমেদ জবা, নারী তুমি অনন্যা ফাউন্ডেশনের সভাপতি, জিগজ্যাগ কার এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা কে এম আমিনুর রহমান, মাদার্স কিচেন এর নির্বাহী পরিচালক মুরাদ দেওয়ান, রোজ কিচেন এর স্বত্ত্বাধিকারী তাহমিনা আহমেদ রোজী, রন্ধনশিল্পী সম্পা সরকার, দীপ্ত টেলিভিশনের অনুষ্ঠান প্রযোজক সাইফর রহমান সুজন, গৃহ সুখন এর চেয়ারম্যান রিমা জুলফিকার, বেকিং এন্ড কুকিং ক্লাব বাই মুন গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা শারমিন আক্তার, ডলি’স বেকারি প্রতিষ্ঠাতা নাজমা ইসলাম (ডলি), বাংলার বীর ফাউন্ডেশন ও সমীকরণ আদর্শ সাংস্কৃতিক সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদদক মো: মাসুদ রানা ও রন্ধনীশিল্পী  কোমার আফজা লিজা।


ঢাকাওয়াচ/স

সম্পাদকঃ সাখাওয়াত হোসেন সজীব
নিবন্ধন নং -১৬৬